গোশতের ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন সেই খলিল?

ছবি সংগৃহীত

 

নিত্যপণ্যের সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক হলেও বেশি আলোচনায় গরুর গোশতের দাম। আর গোশতের দাম নিয়ে কথা বললে চলে আসে রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিলুর রহমানের নাম। কারণ সব ব্যবসায়ীর চেয়ে ঘোষণা দিয়ে কম দামে গরুর গোশত বিক্রি করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন তিনি। এজন্য হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন খলিল। তবু দমে যাননি তিনি। কম দামেই গোশত বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু এবার এই ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন খলিল।

 

আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর গোশত বিক্রি করার পর আর এই ব্যবসা করবেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন খলিলুর রহমান।

 

হঠাৎ করে খলিল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকটা অভিমান থেকে। গোশত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির শীর্ষ নেতাদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

 

খলিল বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা এখন কেউ আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এতদিন আমার কাছে কাছে থাকলেও এখন আর নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। ফলে আমি আর মাংস ব্যবসাই করবো না। কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আর মাংস ব্যবসা করব না।

 

এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানোর আগের দিন অর্থাৎ রোববার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দেন, ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরেই গোশত বিক্রি করবেন তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে গোশত বিক্রির সময় ও দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে খলিল বলেন, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গোশত বিক্রি করব। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর গোশত বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও এখন আর সেটি সম্ভব নয়।

 

এর আগে প্রথম রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গোশত বিক্রির ঘোষণা দিয়ে বেশি আলোচনায় আসেন খলিল। কয়েক মাস ধরেই তিনি বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের তুলনায় কম দামে গোশত বিক্রি করে আলোচনায় ছিলেন।

 

অবশ্য পুরো রমজান মাসে ৫৯৫ টাকা দরে গোশত বিক্রির কথা থাকলেও ১০ রমজানে এসে তিনি কেজিতে দাম বাড়িয়ে দেন ১০০ টাকা।

 

এসময় তিনি লোকসানের অজুহাত তুলে ভারতীয় গরু আনতে ১০ দিনের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি তোলেন। মাঝে দুদিন দোকানও বন্ধ রাখেন তিনি। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন এবং ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা দরে গোশত বিক্রির ঘোষণা দেন।   সূএ: ঢাকা  মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পঞ্চম দফায় কমল স্বর্ণের দাম

» আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় : আইনমন্ত্রী

» রিকশাচালকদের ছাতা, স্যালাইন ও পানির কন্টেইনার দেওয়া হবে: মেয়র আতিক

» দুই সহোদরকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে: র‌্যাব মুখপাত্র

» ১ম টি-টোয়েন্টিতে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

» ট্রাকচাপায় অটোভ্যান চালকের মৃত্যু

» কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

» পরীমণির মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

» ‘বোন হয়ে লাভ হয়নি’! প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে কী বললেন পরিণীতি?

» অস্ত্র-গুলিসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গোশতের ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন সেই খলিল?

ছবি সংগৃহীত

 

নিত্যপণ্যের সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক হলেও বেশি আলোচনায় গরুর গোশতের দাম। আর গোশতের দাম নিয়ে কথা বললে চলে আসে রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিলুর রহমানের নাম। কারণ সব ব্যবসায়ীর চেয়ে ঘোষণা দিয়ে কম দামে গরুর গোশত বিক্রি করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন তিনি। এজন্য হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন খলিল। তবু দমে যাননি তিনি। কম দামেই গোশত বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু এবার এই ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন খলিল।

 

আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর গোশত বিক্রি করার পর আর এই ব্যবসা করবেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন খলিলুর রহমান।

 

হঠাৎ করে খলিল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকটা অভিমান থেকে। গোশত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির শীর্ষ নেতাদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

 

খলিল বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা এখন কেউ আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এতদিন আমার কাছে কাছে থাকলেও এখন আর নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। ফলে আমি আর মাংস ব্যবসাই করবো না। কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আর মাংস ব্যবসা করব না।

 

এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানোর আগের দিন অর্থাৎ রোববার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দেন, ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরেই গোশত বিক্রি করবেন তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে গোশত বিক্রির সময় ও দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে খলিল বলেন, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গোশত বিক্রি করব। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর গোশত বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও এখন আর সেটি সম্ভব নয়।

 

এর আগে প্রথম রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গোশত বিক্রির ঘোষণা দিয়ে বেশি আলোচনায় আসেন খলিল। কয়েক মাস ধরেই তিনি বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের তুলনায় কম দামে গোশত বিক্রি করে আলোচনায় ছিলেন।

 

অবশ্য পুরো রমজান মাসে ৫৯৫ টাকা দরে গোশত বিক্রির কথা থাকলেও ১০ রমজানে এসে তিনি কেজিতে দাম বাড়িয়ে দেন ১০০ টাকা।

 

এসময় তিনি লোকসানের অজুহাত তুলে ভারতীয় গরু আনতে ১০ দিনের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি তোলেন। মাঝে দুদিন দোকানও বন্ধ রাখেন তিনি। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন এবং ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা দরে গোশত বিক্রির ঘোষণা দেন।   সূএ: ঢাকা  মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com